The Definitive Guide to ড্রোন প্রযুক্তি, সামরিক ড্রোন, শক্তিশালী ড্রোন, ইরান ড্রোন, যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন, রাশিয়া

ইরানি ড্রোনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো— এগুলো দামে সস্তা। ফলে যুদ্ধের ব্যয়ভার কমাতে ব্যাপক সহায়ক এসব ড্রোন।  বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো ড্রোন দিয়ে সেটি সম্ভব নয়। এ কারণেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং ইরাক ও সিরিয়ার ইরানসমর্থিত যোদ্ধাদের পক্ষে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। 

বাংলাদেশের পটভূমিতে বঙ্গোপসাগরের সামরিক গুরুত্ব আসলে কতটা১৭ অগাস্ট ২০২৩

ইসরাইলি সাংবাদিক ইসরাইলের সাংবাদিক সেথ জে ফ্রাৎসম্যান তার বইয়ে লিখেছেন, ২০১৭ সালের আগস্টে পারস্য উপসাগরে মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিৎজের ওপর একটি সাদেঘ ড্রোন পাঠায় ইরান। এ ছাড়া ২০১৯ সালের এপ্রিলে একই ড্রোনকে পাঠানো হয় ইউএসএস আইসেনহাওয়ারের কাছাকাছি। একই বছর মার্চে ইরান ৫০টি ড্রোনের একটি মহড়া চালায়, যার নাম দেওয়া হয় ‘ওয়ে টু জেরুসালেম’। 

জ্বালানি তো বটেই, এর বাইরেও নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি করে ইরান। বিশ্বে বাণিজ্যে খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ইরানের আপেল, গম, যব, কমলা, আখ, আলু, পোল্ট্রি বা সবজির মতো পণ্য রয়েছে, এছাড়া website অস্ত্র, সিমেন্ট, রাসায়নিক পদার্থ, নির্মাণ সামগ্রী, সার, ধাতব পণ্য, টেক্সটাইলের মতো অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে, এবং বড় যুদ্ধ বাঁধলে সেসব খাতে বিশ্ববাজারে একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে তারা (তথ্য – গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার)।

সামাজিক মাধ্যমে নানা গুজব, যাচাইয়ের উপায় কী?

বাংলাদেশেও ইরানের আতর, রত্নপাথর বা জাফরানের মতো পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া পারস্য সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস ইরানের পণ্যকে বিশ্বব্যাপী আলাদা একটা নামডাকের জায়গা দিয়েছে বলছিলেন ড. সুলতানা।

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বিক্ষোভ বাড়ছে১৯ মে ২০২৪

সামাজিক মাধ্যমে নানা গুজব, যাচাইয়ের উপায় কী?

ইরানের কার্পেট, কারুপণ্য ও হস্তশিল্পে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলছিলেন, “আমেরিকা যে ইরানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তা সত্ত্বেও আমি ওয়াশিংটনে, বোস্টনে সেসব কার্পেটের দোকান দেখেছি।”

কিন্তু এখন কোনরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই যে কেউ একটা সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোর্স কোড দ্বারা প্রেরিত বার্তা উদ্ধারে সক্ষম। তবে যে কোন বার্তাকেই নিরাপদ করা যেতে পারে সেটি পাঠানোর আগে তা এনক্রিপ্ট করে নিলে, যেটার প্রস্তাব ভাইল ১৮৪৫ সালেই দিয়েছিলেন।

স্নায়ুবিক দিক থেকে মোর্স কোডে একটা অদ্ভূত বিষয় থাকে, যাকে তুলনা করা যায় “কান দিয়ে পড়ার” সাথে, আর কিছু পাঠানো ও গ্রহণ করা আসলে লিখিত বার্তার চেয়ে অনেকটা কথা বলার মতো কাজ করে।

তিনি বলেন, “এটি তাদের খানিকটা পিছিয়ে দেবে আমাদের সৈন্যদের উপর হামলার ক্ষেত্রে, কিন্তু সেটার মাত্রা এতটাও না যে তারা একটা বড় সংঘাতের প্রয়োজন দেখবে, এতে করে আঞ্চলিক যুদ্ধও এড়ানো যাবে।”

এই ড্রোনগুলি যেমন নজরদারি এবং উদ্ধার অভিযানে যেতে সক্ষম আবার তাদের সশস্ত্র সংস্করণটিতে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে।

কিন্তু তাদের অনুমোদন চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা দূর হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *